PathokBarta Logo
Feature Image

কালিয়া থানার তদন্ত ওসি’র বিরুদ্ধে স্ত্রীর নারী নির্যাতন মামলা

পাঠক প্রবাহ ডেস্ক:

নড়াইলের কালিয়া থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মোঃ হাসানুল কবিরের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী মোছা সাদিয়া কানিজ সিদ্দিকা বৃষ্টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০২৫ এর ১১ গ ৩০ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।

রোববার ১৬ নভেম্বর মামলাটি গ্রহণ করেন বিজ্ঞ আমলী আদালত কালিয়ার বিচারক মারুফ হাসান। তদন্তভার দেওয়া হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইকে। মামলা নং এমপি ১০১/২৫(কালিয়া)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় গত ১৯ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে কালিয়া পৌরসভার রেস্ট হাউসের তৃতীয় তলার একটি গেস্ট রুমে বাদী নির্যাতনের শিকার হন।

অভিযোগে বাদী জানান ২০০৮ সালের ৬ এপ্রিল ২ লক্ষ টাকা দেনমোহরে তাদের পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের সময় আসামীর চাহিদা অনুযায়ী তার পিতা পাঁচ বিঘা জমি বিক্রি করে যৌতুক হিসেবে নগদ অর্থ ও বিভিন্ন উপঢৌকন প্রদান করেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে।

বাদী আরও অভিযোগ করেন অভিযুক্ত র্যাবে কর্মরত থাকাকালে জেসমিন ইসলাম জেমী নামের এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় তাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। প্রায় ছয় মাস আগে প্রাইভেটকার কেনার অজুহাতে ২৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন অভিযুক্ত হাসানুল কবির। বাদী টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানালে নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

কালিয়া থানায় বদলি হওয়ার পর সন্তানদের নিয়ে স্বামীর সঙ্গে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও আসামী বাদীকে জানান যৌতুকের ২৫ লাখ টাকা না দিলে সংসার করা সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতিতে বাদী আদালতের শরণাপন্ন হন। মামলায় সাক্ষী হিসেবে বাদীর পিতা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান মণ্ডল শরিফুল ইসলাম সাজু কন্যা ফারহাত তাবাচ্ছুম হিয়া এবং কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক মেডিকেল কর্মকর্তাসহ আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ রয়েছে।

এ বিষয়ে নড়াইল জেলার কালিয়া থানার ওসি তদন্ত মোঃ হাসানুল কবিরের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি মামলায় উল্লেখিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন বাদী আমার নিকট থেকে কৌশলে প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি লিখে নিয়েছে। তদন্ত আসলে আমি জবাব দিতে প্রস্তুত। পরকিয়ার ব্যাপারে যা বলেছে তা মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট। 

তারিখ: 16 Nov 2025 | সময়: 18:51